চট্টবাণী: খাতুনগঞ্জ চাঁন মিয়া লেইনে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক সর্দার মাসুদ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে বাকলিয়ার মোজাহের কলোনি থেকে আসামি মো. সোহাগকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর থানাধীন কাশিপুর এলাকা থেকে ওইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আরেক আসামি মো. সাইদুল হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনার মূল হোতা মো. সাইদুলের দেওয়া তথ্যমতে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি বাকলিয়া থানাধীন হাজী আমিনুর রহমান সড়কস্থ হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পাশে খালি জায়গা হতে উদ্ধার করা হয়। জড়িত আরেক আসামি রাসেল মিয়া (২২) পলাতক।
গ্রেফতার হওয়া সোহাগ আমিন হাজী রোড মোজাহের কলোনির বাসিন্দা। সাইদুল তক্তারপুল বিসমিল্লাহ কলোনির বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সামির ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে আসামি রাসেল মিয়া, সাদ্দাম, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন শ্রমিক সর্দার মো. মাসুদকে (৪০) মারধর এবং বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাস্তার ওপর পিকআপ রাখা নিয়ে মো. মাসুদের সাথে পলাতক রাসেল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ অক্টোবর ভোরে মো. মাসুদ মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় তার ছেলে মো. বাবুল বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, সামির ট্রেডিং এর সামনে আসামিরা শ্রমিক সর্দার মাসুদকে জাপটে ধরে মারধর করার একপর্যায়ে সাইদুল হোসেন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর আসামিরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।