• অর্থনীতি

    মুক্তবাজারে উৎপাদনশীলতার সঙ্গে উদ্ভাবনী দক্ষতাও প্রয়োজন

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ৯:২৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম বলেছেন, ব্যবসা ক্ষেত্রে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা চর্চা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে বাংলাদেশ কম্পিটিশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করে। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করে।

    আইনটি সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকতে হলে উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি উদ্ভাবনী দক্ষতাও প্রয়োজন। এ ছাড়া টেকসই অর্থনীতি জোরদার করতে এ ধরনের আইনের বিকল্প নেই।



    দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই) এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের (বিসিসি) উদ্যোগে প্রতিযোগিতা আইন বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    বুধবার (১৯ অক্টোবর) ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শাহেদ সরোয়ার, বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহুসেইন, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, বিজিএপিএমইএর সাবেক পরিচালক কেএইচ লতিফুর রহমান (আজিম) ও ইউনিভার্সাল অ্যাগ্রো করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান শিকদার প্রমুখ।



    আলোচনা সভায় প্রতিযোগিতা আইন সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিসির সদস্য জিএম সালেহ উদ্দিন ও লিগ্যাল কাউন্সেল’র ম্যানেজিং পার্টনার ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান।

    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে কমিশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে চিটাগাং চেম্বারের ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই) ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্মারকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পক্ষে চেয়ারম্যান ও চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম সই করেন।

    মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো বা হয়রানি করা নয় বরং কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো মার্কেট ব্যবস্থার মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোনো বিশেষ দল বা অসাধু গোষ্ঠী কর্তৃক সৃষ্ট যোগসাজশ বা একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলার যে অপচেষ্টা তা চিহ্নিত ও নিরসন করা। যাতে করে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়।



    চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা আইনটি নতুন, তাই এখনো পর্যন্ত আইনটি সহজে বিশ্লেষণ করার মতো পর্যাপ্ত দক্ষতা দেশে তৈরি হয়নি। এছাড়া বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে ব্যবসায়িক নীতিও দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং বিভিন্ন খাতের ব্যবসার নীতি ও কার্যক্রম বিভিন্ন রকম। তাই এই আইনের আওতায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম কোনো একটি খাতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বিরোধী দেখালেও এই একই রকম কার্যক্রম অন্য আরেকটি খাতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বিরোধী নাও হতে পারে। তাই এই আইনের সঠিক প্রয়োগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরের বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে গভীরভাবে আলোচনা করা দরকার।

    তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর হতে হলে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিযোগিতা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন অপরিহার্য।



    বক্তারা বলেন, এই আইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীদের। আইনে কিছু কঠোর ধারা রয়েছে।

    এসব ধারা সংশোধন করে টেকসই ব্যবসাবান্ধব করার আহবান জানান তাঁরা।

    সভায় বিসিসির সদস্য ড. এএফএম মনজুর কাদির এবং নাসরিন বেগম, চেম্বার পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।