চট্টবাণী ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডিতে হোম সার্ভিসের কথা বলে বাসায় ডেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে (বিউটিশিয়ান) গণধর্ষণের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে এ দুজন সরাসরি জড়িত।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছাত্র হলেন রিয়াদ (২৪) ও ইয়াসিন হোসেন সিয়াম। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিজুল হক জানান, ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারী পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। আগে বিউটি পার্লারে কাজ করতেন তিনি। করোনা পরবর্তী সময়ে সেবা প্রদানের সুবিধার্থে ফেসবুকে নিজের একটি অনলাইন পেইজ খোলেন তিনি। তার কাছ থেকে ইতোপূর্বে সেবা নেওয়া পরিচিত নারীদের বাসায় গিয়ে সার্ভিস দিতেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে ফোনে তেমন একটি সেবা প্রদানের (ফেসিয়াল করা) অনুরোধ পান তিনি। তাসলিমা নামে একজন ফোনটি করেছিলেন বলে ওই নারী জানিয়েছেন। তাসলিমার ভাই পরিচয় দিয়ে রিয়াদ নামে একজনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আজিজুল হক আরও বলেন, সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ তাকে জানান, তাদের বাসা মূল সড়ক থেকে কিছুটা ভেতরে। ওই নারী বাসায় পৌঁছালে তাকে তাসলিমার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন রিয়াদ। এর কিছুক্ষণ পর রিয়াদ, সিয়াম ও জিতু নামে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। তারপর ওই নারীকে তারা ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে ওই নারীর মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন তারা।
ধর্ষকদের সাথে ওই নারীর কোনো পূর্বপরিচয় ছিল না বলে জানান ডিসি আজিজুল হক।