লোহাগাড়া প্রতিনিধি : লোহাগাড়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ সুখছড়ি এলাকায় আঙ্গা মিয়া সিকদারের ছেলে সার্জেন্ট সৈয়দ আলমের বসতঘরে রাতের আধারে অর্তকিত হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে সার্জেন্ট সৈয়দ আলমের বোন খুরশিদা আক্তার (৬০) ও তাঁর ভাতিজি ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী নওরিন মিম তুর্ণা (১০) গুরতর আহত হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সার্জেন্ট সৈয়দ আলম সিকদারের ভাবী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাতের আধারে প্রতিপক্ষ বেলাল উদ্দিন, মাসুদ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এসে হঠাৎ অর্তকিত অবস্থায় লম্বা ধারালো দা ও লোহার রড দিয়ে আমাদের বসতঘরের টিনের ঘেরা-বেড়া ও পাকা পিলার দিয়ে তৈরী সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এসময় ধারালো লম্বা দা দিয়ে বসতঘরের দেওয়াল কোপাতে থাকলে বসতঘর থেকে বেরিয়ে এসে সার্জেন্ট সৈয়দ আলমের বড়বোন খুরশিদা আক্তার (৬০) ও ভাতিজি ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী নওরিন মিম তুর্ণা (১০) বাঁধা দিলে লোহার রড ও ধারালো দা দিয়ে তাদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে আহতাবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়েছে। বর্তমানেও তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরতর আহত তুর্ণার বাবা খোরশেদ আলম সিকদার জানান, সন্ত্রাসীদের রডের আঘাতে আমার মেয়ে তুর্ণার পা ভেঙ্গেছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান, মেয়ের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত আছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।