চট্টবাণী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করেছে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বৈশ্বিক বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ নানাবিধ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও পরিকল্পনার সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনমানুষের নিরাপত্তাবোধ। জঙ্গিবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ দমন ও প্রতিরোধ ইতোমধ্যে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের নেওয়া কার্যক্রম জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৮ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ দমন ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী আনন্দিত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও এটিইউয়ের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যরা’ উল্লেখ করে তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সেই বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছিল মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য সৃষ্ট কৃত্রিম সংকটকালীন পরিস্থিতিতে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ ঘোষণা করে একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিই। দেশব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদবিরোধী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অভিযান, মামলা তদন্ত ও জনসচেতনতামূলক কাজসহ কাউন্টার রেডিকেলাইজেশন অ্যান্ড ডিরেডিকেলাইজেশন কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমোদন দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এটিইউ গঠন করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটিইউ তাদের নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটিইউ আরও বিস্তৃত পরিসরে নিরলস কাজ করে যাবে। প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এ সময়ে জঙ্গি ও দেশবিরোধী শক্তির অপতৎপরতা রুখে দিতে এটিইউ নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে যুগের চেয়ে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করে জনগণকে সেবা দিয়ে যাবে, এটিই আমার প্রত্যাশা।
সবাই মিলে আগামী প্রজন্মের জন্য জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম বর্ষপূর্তির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।